হোম ইজ হোয়ার পার্কিং স্পট ইজ। একটা আদিগন্ত ফাঁকা শহরে আমি পার্কিং স্পট খুঁজে বেড়াচ্ছি। আর এই খুচরো বৃষ্টি উপেক্ষা করে এক ছাতাছাড়া কচি দম্পতি প্রেম করতে করতে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছে। আমার হিংসে হচ্ছে। অল্প। তিন দশমিক সাত মিমি। আহা, তোমাদের মঙ্গল হোক। এই যে সামনের রাস্তাটা, এ’টা আসলে রাস্তা না। নদী। নদীর বুকের চড়া। আমি চড়ি। নদীর নাম মিসাইমারি। শাখা। প্রশাখা। ঠিক মত মানচিত্র মেপে চললে এর উৎস ইলতুৎমিশের বাড়ি। এর মোহনা বতুতার দোরগোড়ায়। নদীর বহর বাড়ছে, জানো। ভাল্লাগে না। তবে খনার বচন অনুযায়ী এর দৈর্ঘ্য ছোট হবে। ক্রমহ্রাসমান। একদিন ছোট হতে হতে ইলতুর বাড়ি আর বতুর বাড়ি মিশে যাবে। সরস্বতী ঝুপ করে অন্তঃসলিলা হয়ে যাবে। বানান ঠিক লিখলাম? কে জানে। কবি বলেছেন রাইট ড্রাঙ্ক, এডিট সোবার। এডিট হবার আগে এ লেখার পরমায়ু খতম। আমি বলছি। মন দিয়ে শোনো। ব্রিজটা নেবে না, ব্রিজের আগের বাঁদিকে… কী উল্টোপাল্টা বকছ! বাবা সবসময় বলত, বাড়ির রাস্তা বাতলে দেওয়া ইজ এ আর্ট। এ? অ্যান? অ্যান আর্ট। সবাই পারে না। কেউ কেউ পারে। শোনো। রাস্তায় নেমে বাঁদিক। প্রথম ট্রাফিক সিগনাল থেকেও বাঁ। তারপর একটা লালবাতি ছেড়ে ড্রেক রামোরের মোড় থেকে ডাইনে। স্বভাবসিদ্ধর চার মাথার মোড় থেকেও সোজা। সোজা। সোজা। তারপর আরেকটা কঠিন বাঁদিক। অনেকগুলো বাম্পার আছে। বঙ্গলক্ষ্মী বাম্পার। এদেশে বলে স্পিডব্রেকার। ছাতার মাথা। পথে একটা দোলনা পড়ে। আর একটা সুপ্রাচীন পোস্টাপিস। আর একটা সোনার তরীর ঘাট। মিসাইমারি বেয়ে তোমার নৌকা পাহাড়তলী যায়, ও মীরাবাঈ। নৌকা তোমার ময়ূরপাখি, পালে নকশিকাঁথা আঁকি, সেই পালেতে দখিনি হাওয়া, ও মীরাবাঈ। মীরাবাঈ, সুসময় আসবে না? আসবে না সুসময়?