ধুধু হিমালয়। খয়েরি পাথর। দুধ সাদা বরফ। স্যাণ্ডো গেঞ্জির উপর ফুলহাতা শার্ট। তার উপর হাফ সোয়েটার, তার উপর হাতে বোনা রঙ ফ্যাকাশে হওয়া ফুল সোয়েটার। সব মিলিয়ে ফুলে ঢোল। আর একটা মাফলার। যেটা হারালে বাবা বকবে, না পরে থাকলে মা বকবে। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসস্টপ থেকে বাস এ উঠেই ব্যাগে চালান। কিন্তু এখানে পরব। মাফলারটা কাজের জিনিস। হাতে গ্লাভস নেই। জমে যাচ্ছে। পকেটে ঢুকিয়ে, বা হাঁ করে বাষ্প ছেড়ে বা কচলিয়ে গরম রাখার চেষ্টা। ভগবান মানিনে। শিবুদা কে খুব মানি। হিমালয় মানি। হিমালয় আমার শিবুদা। একদিন সব ছেড়ে হিমালয় চলে যাবো। এক বস্ত্রে হবে না। এক মাফলারে।

কপার সালফেটের মত স্বচ্ছ নীল বরফ। বদ্রীনাথ থেকে। নীলকণ্ঠ পাহাড় থেকে ঠিকরে পড়ছে চাঁদের আলো। দেখে ভেউভেউ করে কাঁদব। আহাম্মক ভগবান আর অসুরের দল সমুদ্র মন্থন করল একটু অলুক্ষুণে সুধার জন্য। অমৃত। উঠল হলাহল। কালকূট। গন্ধে ঝাঁঝে সব শুয়োরের বাচ্চা কাৎ।
শিবু দা উঠে এলো।
“কই দেখি, দাও।”
কোঁৎ করে গিলে নিলো সব টা।
লোকটার গলা নীল হয়ে গেল। অন্যদের দোষে।
আমার শালা কান্না থামে না দেখে! অমন বড় পাহাড়টা। একটু অহঙ্কার নেই। আমার মত একটা পুঁচকে ছেলেকে দর্শন দিলো।

কেদার যাচ্ছি। হেঁটে। চড়াই। ঘেমে নেয়ে একসা। পরনের সোয়েটার কোমরে। কী রোদ! রুক্ষ পাহাড়। তারপর একটা মোড় ঘুরলাম।
একটা মোড়। একশোটা সাদা পাহাড়। ছায়া করে রেখেছে। হুহু ঠাণ্ডা। পাঁজর কেঁপে যায়! টার্কোয়াজ নীল মন্দাকিনী।

বিটল্‌স এর সেতার শুনব। হিয়ার কাম্‌স দ্য সান। বব ডিলান। টু রামোনা। কেদার শুনব। জৌনপুরী। দুর্গা। দেশ। গৌড়।
নট।
নটরাজ। শিবুদা হেব্বি ভালো লোক।
শিমলা থেকে গাঁজা এনে সাতেপাঁচে না থাকা অ-আরেসেস সন্নেসীদের সাথে বসে খাবো।
পৃথিবী গাঁড় মারাক জাস্ট।
মাখন দিয়ে চা খাবো। বা চমরী গাই এর দুধ দিয়ে।
তিব্বতীদের মোমো খাবো।
ঝোল ঝোল গাজর বাঁধাকপি গোলমরিচ দেওয়া থুকপা।
মনাস্টেরিতে অঙ্ক পড়াব।

পৃথিবী বাল এর আঁটি বেঁধে ছিঁড়ুক।

অকর্মা মেঘদূত এতদ্বারা বরখাস্ত হইল।