– জুন মাসে হেব্বি গরম হবে।
– আমার তো গা হিম হয়ে যাচ্ছে।
– চুপ কর। অনেক লোক হবে। বড় বাড়ি চাই।
– লাগসই বাথরুম…
– ইশ! এসি হল হলে ভালো।
– হুম। বাথরুমে বড় জানালা চাই।
– নিকুচি করেছে! বাফে না পাত পেড়ে?
– মই বেয়ে।
– কীহ?
– ওই যে? জানালার নীচে?
– শোন, ইয়ার্কির মুডে নেই। তুই নিশ্চয় ধুতি ই পড়বি?
– ভালো মনে করিয়েছিস। ভালো এক সেট বক্সার ব্রীফ কিনতে হবে। আর স্পোর্টস শ্যু।
– ন্যাকা! তোর তাহলে সাতাশ ইনটু থ্রি, প্লাস ওইদিকে যত মিসেলেনিয়াস রাঙা পিসি রা… মোট পাঁচশো ধরি?
– চারশো নিরানব্বই। নিরানব্বই মানে নাইনটি নাইন। ফোর নাইনটি নাইন।
– মেরেই দেবো।
– দিস। বৈধব্য স্যুটস ইউ। দি ইয়ং উইডো, দি ট্র্যাজিক ব্রাইড…
– বালাই ষাট। মুখে আটকায় ও না।
– একটা গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে।
– পথে এসো। তরফদার কাকু কে বলে রেখেছি। মান্ধাতার অ্যাম্বাসাডার উইথ রজনীগন্ধা এবং গোলাপ। তাই চড়ে তুমি বে করতে আসবে, কেমন খোকাবাবু?
– ওহ। একটা কাজ কমল। তাই চড়েই… হু… তাই চড়েই…
– যা না যেখানে খুশি যা! কে বিয়ে করবে রে তোকে? এখন ই পালা না!
– উঁহু। বিয়ের রাতে।
– আমার মুখ পুড়িয়ে?
– অ্যাম্বাসাডার গাড়ি টা বড়।
– তো?
– আরেকজনের জায়গা হয়ে যাবে।
– কিন্তু বিয়েবাড়ি টা?
– ঠিক। চোঙায় করে খাবার নিয়ে আসব। ফুল মেনু। আমার শ্রা- ইয়েতে ওরা গাণ্ডে পিণ্ডে গিলবে আর আমি দেখব নাকি?
– বাথরুম?
– বাথরুম।
-জানালা?
– হু।
– মই?
– রেডি।
– অ্যাম্বাসাডার ?
– তরফদার কাকু।
– প্রসাদ?
– ফুল মেনু।
– গিফট গুলো?
– ওই তো কাপ ডিশের সেট। ইন মা’জ ভোগ। আমি তোকে, তুই আমায়।
– ইলোপ? ফাইনাল?
– হুম। আমায় বিয়ে করবি?