পরিখার ওপাশে দাঁত ছিরকুটে পড়ে ছিল চরণদাস। পরিখার ভিতর পাঁচিলঘেরা রাজধানীতে বর্ষপূর্তি উৎসব। মজলিশ। মোচ্ছব। আতসবাজি। গেলাসে গেলাসে ঠুঙ্কার। গাধার পিঠে চড়ে উষ্ট্রমাংসের কুঁড়েডেলিভারি। চোখে কালশিটে আর কষে রক্তের ফোঁটা নিয়ে গোঙানিরত চরণদাস। মৌন্দ্র গুনগুন করছিল বলে বাবার কাছে ধমক খেল। “শিক্ষে হয় না মনা? বুড়ো বাউলটাকে দেকিসনি? রাজপেয়াদায় ক্যালাবে এরম করলে।” কালীপটকার বেতালা বোল টপকে নাছোড়বান্দা সুর মাথায় ঘোরে তার।
চরণদাসের মাথার কাছে একপাটি বাহারি চটি। শুণ্ডির জামাইদের কারুর একটা হবে। তাদের পাঁজরে গনগনে লাল লোহার শিকের ছ্যাঁকা দেওয়া চলছে। সেসব প্রাসাদের ভিতরে। উদয়ন পরবর্তী সেমেস্টারের সিলেবাস ঠিক করছেন।
দ্বিতীয় হীরকাব্দের মুখে দাঁড়িয়ে প্রসন্ন হাসেন হীরকরাজ। দু’হাজার ষোল ওরফে প্রথম হীরকাব্দ মন্দ যায়নি। মুখ থেকে হাসি না সরিয়েই গবেষককে তলব করেন তিনি। সাড়ে সাতটা নাগাদ একটা ভাষণ দেবার আছে। তার আগে অ্যাজেন্ডা ঝালিয়ে নেওয়া দরকার।