প্রিয়তমেষু ঘেঁটু,

ওটা মূর্ধণ্য ণ। যাকে তুই মধ্যেন্য বলিস। বাংলা সেকেণ্ড পেপারের ক্লাসে পইপই করে বলে দিয়েছিল, বন্ধুবরেষু বা শ্রদ্ধাভাজনেষু দিয়ে শুরু করতে। আমার বয়ে গেছে। (আমিও বয়ে গেছি।) এই চিঠিতে নম্বর দেবার কেউ নেই। দশে সাড়ে ছয় পেলে কোনও মহাভারত বা সুকুমার সমগ্র অশুদ্ধ হবে না। শুধু মনে রাখিস, বানান ভুল করিনি।

তোর দিব্যি দুটি ডানা গজিয়েছে। সোমত্ত জলজ্যান্ত ডানাওলা পরী। কবীর দোঁহা বেঁধে ফেলল বলে। ফের উড়ে গেছে পাখি, পৃথিবী ছেড়েছে নীচে, বাতাস, তোমার কাছে সে সঁপেছে নিজে। এটা ঘুমভাঙানি না পাড়ানি, জানিনা। সে সু্যোগ রাখিসনি। পায়ের কাছে রূপার কাঠি, মাথার কাছে সোনার। উলটে দিলে তোর জেগে ওঠার কথা। অথচ অনেক খুঁজেও বালিশের তলায় আধফোঁকা জয়েন্ট পেয়েছি, পায়ের কাছে তোর কটিবাস। চিঠিতে প্যান্টি লেখা মানা। তুই যথারীতি জাগছিস না। বা ঘুমোসনি, দু’দিন।

একে সাধু বাংলায় প্রলাপ বলে। অসাধু বাংলায় ভাট। মাতাল বাংলায় বালবাজারি। ইমন রাগটা আমার বেশ অপছন্দ। অথচ কড়ি মা-টা খারাপ ঠেকছে না। ঊর্দুতে একটা কথা আছে, মুসলসল। ভারী ভালো কথা। ভালোরকম ভারী কথা। মুসলসল মানে বাঁধা, একই সূত্রে। সম্বন্ধ। সম্পর্ক। প্রসেনজিতীয় ভাষায় বন্ধন। এই শব্দটা নিয়ে একটা কুড়ি নম্বরের রচনা লেখা যায়। একটা গীতবিতান সাইজের প্রবন্ধের বই লেখা যায়। বা লর্ড অফ দ্য রিং সাইজের উপন্যাস। সে বইএর শেষের অধ্যায় আমরা পৌঁছেছি। কেবলই ভাবছি শেষ ক’পাতায় লেখক এতখানি ধরাবে কী করে? তবে কী… তবে কী?

ইতি না হলে বোঝা যাবে না। কয়েক পরিচ্ছেদ বাকি।

ইতি,
ফটিক।