সব লড়াই জেতার জন্য লড়া হয় না। সেই লড়াইগুলো ক্লান্তির দোহাই দিয়ে থেমে যায়। যুদ্ধবিরতির ধামায় চাপা পড়ে। পাটা পিচের চতুর্থ ইনিংসের মত। আধা ঘন্টার খেলা বাকি, আড়াইশোটাক রান তুলতে হবে। নয় উইকেট হাতে। হাজার পেঁদালেও উঠবে না। চারহাতে বল করলেও অল আউট হবে না। তখন দেখবি বল পারলে দুই ড্রপে পৌঁছয়, অলস হাত দেরিতে নামে, কানায় লেগে থার্ড ম্যান। স্লিপে দাঁড়িয়ে নাসের হুসেন লাঞ্চে খাওয়া পাউরুটি খোঁটে দাঁত থেকে। আম্পায়ার চার দেখাবে না হাত দিয়ে হাই চাপবে বুঝে পায় না। এক দুটো বল দৈবাৎ প্যাডে লাগলেও আপীল করে করে ক্লান্ত ক্যাডিকের হাউজদ্যাট দীর্ঘশ্বাসের মত শোনায়। দ্রাবিড়ের হেলমেট থেকে দরদর করে ঘাম ঝরে। তখন পুরো নব্বই ওভার হয় না খেলা। সেইরকম। ড্র ছাড়া গতি নেই। তাই যুদ্ধ থামে। কথা হয়।

“অনেক কাজ ছিল আজ। বিছানাটাকে ভাগাড় করে রেখেছে।”

“হুঁ। হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। ঠান্ডা পড়ছে।”

“হুঁ। সোয়েটার নিস। কাল তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।”

“হুঁ। আমায় বেলা করে আপিস যেতে হবে একবার।”

“হুঁ। আর বল।”

“হুঁ। কী আর।”

“হুঁ। কিছু তো বল।”

“হুঁ। ফ্রিজ। ছাদ। ফ্যালফ্যাল। ইত্যাদি।”

হ্যাঁ। ইত্যাদি। বারো নম্বরের রচনাধর্মী প্রশ্নে উদাহরণ মনে না পড়ার ইত্যাদি। “আর কী বলল সেজমণি?”‘র উত্তরে “ওই তো তোমরা কেমন, দিদার চোখ, আর বলিস না পাঁচশোর নোট, ভালো করে পড় এইসব” এর ইত্যাদি। “কী করছিস?” এর ইত্যাদি। মিড অনে বল ঠেলে পায়চারি করতে করতে রান নেওয়ার ইত্যাদি।

আবার পরে কথা হবে। ভালো থাকিস। ইত্যাদি।