– হ্যালো। হ্যালো? ক্যাপ্টেন গোবিন্দর মা? দিস ইজ কুম্ভকর্ণম্যান। প্লিজ রেসপন্ড। ওভার।
– *মৃদু ঝিরঝির*
– দিস ইজ অ্যান এমার্জেন্সি। উত্তর দে। ওভার।
– হয়েছে টা কী? ওভার।
– জলদি বেরো। জোর পেয়েছে। ওভার।
– এটা কী প্ল্যানেট মগের মুলুক নাকি? ওভার।
– ইয়ার্কি মারিস না। খুব জোর পেয়েছে। বেরো এক্ষুণি। ওভার।
– ভিতরের ঘরের সৌরমণ্ডলে যা। আমার সময় লাগবে। ক্রিটিকাল কন্ডিশন। ওভার।
– প্রথমতঃ ওটা আলোকবর্ষ দূরে। দ্বিতীয়তঃ ভিতরের ঘরের দরজা বন্ধ করে মাসি ঝুল ঝাড়ছে। নো অ্যাকসেস। তৃতীয়তঃ আমি তোমাকে চাই। বেরো না রে। ওভার।
– নেকু! চেপে বোস থাক খানিকক্ষণ। ওভার।
– তুই এত নিষ্ঠুর কেন রে? পাড়ছিস তো ওই ছাগলের নাদি। ওভার।
– তুই তো ছাড়বি জল। ওভার।
– পেট ফেটে মরে যাব। বিধবা হবি। ওভার।
– এয়ার ফ্রেশনারটার কী সুন্দর গন্ধ রে! ওভার।
– মেরে ফেলব কিন্তু। জানে মেরে ফেলব। ওভার।
– এখন কেন? মনে ছিল না মেট্রো স্টেশনে আমায় ফেলে পাঁইপাঁই করে ছোটবার সময়? আমার সেদিন হিসি পায়নি? তিন বোতল বিয়ার আমিও খাইনি সেদিন? ভিড়ের মধ্যে আমি তোকে আর সুলভ খুঁজে হয়রান। এখন বোঝ। ওভার।
– ভিজে প্যান্ট নিয়ে তোকে কী সাহায্য করতাম বল? ঠিক সময়ে কিউবিকলে না পৌঁছলে সেদিন বিস্ফোরণ হত। তাছাড়া ও তো খৃষ্টপূর্বের কথা। সে কথা কি এখনও মনে রাখতে আছে? ওভার।
– ভালো লাগে বল? হব হব করে হচ্ছে না। ওভার।
– আমি আটাকামার কথা ভাবলেও হয়ে যাবে। বেরো না রে। পরে ঢুকিস আবার। ওভার।
– অ্যাই। শোন না। বলছি কি… বলছি আমায় ভালোবাসিস?
– …
– উত্তর কই?
– …
– ওহ! ওভার।
– বাসি। ছুঁয়ে বলছি। ওভার।
– কী করে ছুঁলি? আমি তো ভিতরে। ওভার।
– উফফফ! বলছি তো বাসি ভালো। বেরো। ছুঁচ্ছি। ওভার।
– আমি টাইমপাস নই? ওভার।
– না। তুই আমার তিন ঘন্টা ধরে নুন হলুদে ম্যারিনেট করা রুই। বরং আমি ই তোর কুড়ি টাকার প্যাকেটের পপকর্ন। সিনেমা শুরুর আগেই শেষ করে ফেলবি, তারপর অক্ষয়ের থেকে খাবি। ওভার।
– কী অসভ্য তুই! তোকে বিয়ে করা মোটে উচিৎ হয় নি। ওভার।
– তোর আলমারি গুছিয়েছিস, না? ওখানেই বরং…
– বেরোচ্ছি। বেরোচ্ছি। বেরোচ্ছি। ওভার। অ্যান্ড আউট। সত্যি।