পাতলা কাগজের টুকরো দিয়ে কাজ চলে না। চলে, দিব্যি চলে, আর সবাই তো চালায়। ফটিকের চলে না। দিনভর একটা খুঁতখুঁতানি কোমরের কাছটায় সুড়সুড়ি কাটে। হাঁটতে অসুবিধে হয়। বসতে অস্বস্তি। ফলে অবশ্যম্ভাবী খিটখিটেপনা, অমনোযোগ। উপায়?

জল। জল? বসের দৃষ্টির চেয়েও ঠাণ্ডা সে তরল। এ তো আর বৈকুন্ঠপুর নয়, এ হল হেভেনসবার্গ। হুঁ হুঁ বাবা। চোখের পলক পরবার আগে জমে স্বর্গদ্বার সীল করে দেবে! তারপর নো আনাগোনা।

তবে? গরম জল? আঁতকে ওঠে ফটিক! বলে কী ব্যাটা বাঞ্ছারাম! হাতে পরশপাথর পেয়েছ? তিন হপ্তায় একবার স্নান করে সে ওই গরম জল এর খচ্চা বাঁচাতে (আদপে ফটিকের চানে বেজায় অনীহা), আর সে কিনা… মশা মারতে নিউক্লিয়ার মিসাইল!

যাচ্চলে। চিন্তায় চিন্তায় ফটিকের কোষ্ঠ কাঠিন্য হবার জোগাড়। সকালের ত্রাস। শেষ বিকেলের আতঙ্ক। চা কফি থেকে দশ হাত দূর। এমনি ভাবে বেশ কিছুদিন যাবার পর ফটকেচন্দরের কানে এল এক নবীন মাস্টার এক খুকু কে পদার্থবিদ্যায় হাতেখড়ি করাচ্ছে। বস্তুর তিন রূপ। কঠিন, তরল,-

ফটিকের মুখে আরামের এক অনাবিল হাসি ফোটে!